বিশ্বজগতে একমাত্র মানুষেরই যৌন ক্ষুদা সীমিত নয় । বিশ্বের প্রতিটি জীবই সারাবছরের একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে যৌন মিলনে মিলিত হয় এবং সন্তান উৎপাদন করে। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে বিষয়ই আলাদা । মানুষ বছরের যে কোনো সময়ে যৌন মিলনে মিলিত হতে পারে এবং সন্তান উৎপাদন করতে পারে । এই কারণেই মানুষের মধ্যে স্ত্রী -পুরুষকে পরস্পরের সান্নিধ্যে থাকতে দেখা যায় । আর এই প্রবৃত্তি থেকেই মানুষের মধ্যে পরিবারের উদ্ভব হয়েছে । অবশ্য পরিবার গঠন করে স্ত্রী পুরুষের একত্রে থাকার কারণও আছে । সেটা হচ্ছে বায়োলজিক্যাল কারন । প্রাণিজগৎ এ মানুষের মধ্যে শিশু কে লালন পালন করে বড় করে তুলতে মানুষের অনেকটা সময় লাগে । যেটা ওন্যান্য জীবেদের ক্ষেত্রে লাগে না । এই জন্যই স্ত্রী পুরুষকে একত্রে থাকতে হয় । যদি ধরুন পুরুষ স্বামী সন্তানের জন্ম দিয়ে চলে যায় তাহলে স্ত্রী এবং শিশুকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পরতে হয় । বস্তুত আদিম যুগে নারীকে সবসময়ই পুরুষের উপর নির্ভরশীল থাকতে হত । যুগে যুগে যদিও নারী নির্যাতিত হয়েছে , তবুও সে তার ভালোবাসা দিয়ে পুরুষকে সে তার সান্নিধ্যে রেখেছে । সুতরাং দেখা যাচ্ছে মনুষ্য জগতে পরিবারের উদ্ভব ঘটেছে জীব জনিত কারণে । বিবাহের দারা পরিবারএর মধ্যে নারী-পুরুষের সম্পর্ককে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে অনেক পরে এবং এক বিশেষ প্রয়োজনে । বস্তুত আদিম মানুষকে খাদ্যের সন্ধানে বহু দূরে যেতে হত । ফলে অনেক ক্ষেত্রে তাকে নিজ গৃহ থেকে দূরে অন্যত্র থাকতে হত । এই সময় তার স্ত্রী বাড়িতে একা থাকত । এবং তার একা থাকার সুযোগে অনেক সময় অন্য পুরুষ জোর পূর্বক তাকে হরণ করত ।এরপর নারীটির পুরুষ যখন বাড়ি আসত তখনই উক্ত অন্য পুরুষের সাথে তার রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হত ।মূলত এরুপ রক্তপাত পরিহারের জন্যই মনুষ্য সমাজে বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষের সম্পর্ককে সামাজিক স্বকৃতি দেওয়া হয় । প্রখ্যাত নৃতত্ববিদ ওয়েস্টার মার্ক বলেন, পরিবার গঠন করে স্ত্রী পুরুষের একত্রে বাস করা থেকেই বিবাহ প্রথার উদ্ভব হয়েছে , বিবাহ প্রথা থেকে পরিবারের সূচনা হয়নি ।
সূত্র ;- ভারতের বিবাহের ইতিহাস
সূত্র ;- ভারতের বিবাহের ইতিহাস
No comments:
Post a Comment